ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার ৫ কারণ

Spread the love

সকালে ঘুম থেকে উঠেই অফিসে ছুটছেন। নয়ত উঠেই খেতে বসে গেলেন। কিন্তু সকালের এমন কিছু কাজ আছে যা করলে সহজেই আপনি আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। পেটের মেদ কমাতে হলে সকালটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্যভ্যাস, ব্যায়াম এবং ঘুম ওজন কমাতে দরকারি। কিন্তু সকাল সকাল কিছু ভুলের কারণে আপনার ওজন কমানোর লক্ষ্য বরবাদ হয়ে যেতে পারে। জেনে নিন, এই ভুলগুলো আপনিও করছেন না তো?

সকালে ব্যায়াম না করা

গবেষণা বলে, সকালে ব্যায়াম করলে বেশি ক্যালোরি খরচ হয় এবং ওজন বাড়া ঠেকায়। খালি পেটে ব্যায়াম করলে শরীর থেকে চর্বিও দূর হয়। তারমানে এই নয় যে সকাল সকাল জিমে ছুটতে হবে। আপনি বাড়িতে ও বাড়ির আশেপাশেই কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন হাঁটা, জগিং, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো বা স্কিপিং। সকালে আধা ঘণ্টার ব্যায়ামও অনেক উপকারে আসে।

সকালে নাশতা না করা

অনেকেই ভাবেন, একবেলা খাবার না খেলে ওজন কমবে। এই ধারণাটি খুবই ভুল! সকালের নাশতা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। নাশতা করার সাথে সাথে মেটাবলিজম দ্রুত হয়। এছাড়া সকালে নাশতা না করলে সারাদিনই আপনার ক্লান্তি লাগবে এবং এটাসেটা খেতে ইচ্ছে হবে। ফলে ওজন কমার বদলে বেড়ে যাবে। এ কারণে সকালে ভরপেট নাস্তা করা উচিত।

সকালে পানি পান না করা

সারা বিশ্বের ডায়েটিশিয়ান, নিউট্রিশনিস্ট এবং ফিটনেস এক্সপার্টরা এ বিষয়ে একমত যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাটা সুস্থতার জন্য যেমন জরুরি, ওজন কমাতেও তেমনি জরুরি। পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর এবং মেটাবলিজম বাড়াতে কাজে আসে। এছাড়া সকালে দুয়েক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করলেও ওজন এবং পেটের মেদ কমে।

সকালের রোদ গায়ে না মাখা

শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সকালের রোদ কিন্তু আপনার ওজন কমাতে কাজে আসে। সূর্যের আলো মেটাবলিজম বাড়াতে কাজে আসে এবং আপনাকে শক্তি দেয়।

নাশতায় প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া

অনেকেই সকালবেলায় তাড়ায় থাকেন। তারা প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবারের ওপরেই নির্ভরশীল। এসব খাবারের মাঝে রয়েছে সিরিয়াল, গ্রানোলা বার, পাউরুটি, কুকি ইত্যাদি। এসব খাবারে থাকা কৃত্রিম ফ্লেভার এবং প্রিজার্ভেটিভস শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া এসব খাবার খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ওজন কমাতে সকালবেলা ঘরে তৈরি খাবার বা সাধারণ টাটকা খাবার খেতে পারেন। যেমন ফল, বাদাম, ওটস, ফলের স্মুদি ইত্যাদি।